টানা চতুর্থ সপ্তাহ মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। রাশিান তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির সাথে সাথে কানাডিয়ান তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কানাডিয়ান ডলারের প্রাইস বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে।
এর ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলারের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান নেতাদের বৈঠকে ডিসিশন নেয়া হয়। রাশিয়া থেকে আমদানি পণ্যের উপর ৯০% নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

এই নিষেধাজ্ঞা তেলের প্রাইস বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।যা কানাডিয়ান ডলারের প্রাইস বৃদ্ধিতে গতি নিয়ে আসতে পারে। কারণ কানাডার ইকোনমির অনেকাংশ তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার প্রকাশিত কানাডিয়ান জিডিপি পজিটিভ ছিল। যা প্রত্যাশার উপরে এসেছিল। ব্যাংক অফ কানাডা ইন্টারেস্ট রেট ১.৫০% অব্যাহত রেখেছে।
এ সপ্তাহে যা হতে পারে
USDCAD ট্রেডারদের নজর থাকবে চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত মার্কিন ও কানাডিয়ান রিপোর্টের দিকে। এপ্রিলে কানাডিয়ান ট্রেড ব্যালেন্স ২.৪৯ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩ বিলিয়ন আসতে পারে। যা কানাডিয়ান ডলারের ক্ষেত্রে পজিটিভ হবে।
এছাড়াও দেশটির জব রিপোর্ট ১৫ হাজার ৩০০ থেকে বেড়ে মে মাসে ২৪ হাজার আসার সম্ভাবনা রয়েছে।বেকারত্বের হার ৫.২%-এ অপরিবর্তনীয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন ইভেন্টগুলোর মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি রিপোর্ট বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৬.২% থেকে কমে ৫.৯% আসার প্রত্যাশা করা হলেও বাৎসরিক ব্যবধানে ৮.৩%-এ অপরিবর্তনীয় থাকতে পারে। চলতি সপ্তাহেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলার শক্তিশালী হতে পারে।

USDCAD টেকনিক্যাল অ্যানালাইসি
USDCAD পেয়ারের ডেইলি চার্টে দেখা যাচ্ছে। পেয়ারটি বুলিশ চ্যানেলের মধ্যে মুভমেন্ট করছে। যদিও গত সপ্তাহে পেয়ারটি চ্যানেল সাপোর্টের কাছাকাছি এসেছিল। RSI ইনডিকেটর অনুযায়ী USDCAD ৫০ পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। যা বিয়ারিশের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
২২ SMA-এর নিচে অবস্থান করছে। যা পেয়ারের বিয়ারিশ অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। পেয়ারটি চ্যানেল সাপোর্ট অতিক্রমে সক্ষম হলে ডাউনট্রেন্ড শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলার শক্তিশাী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
