EURUSD সাপ্তাহিক পূর্বাভাসে পেয়ারটি কিছুটা মন্দায় রয়েছে কারণ পেয়ারটি বেশ কয়েকদিন প্রচেষ্টার পরে ১.১০০০ এরিয়ার উপরে উঠলেও টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়েছে। পেয়ারটি ১.১০০০ প্রাইসের কাছাকাছি থাকার ফলে নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না পেয়ারের গতিবিধি কোন দিকে যেতে পারে।
একটি কূটনৈতিক সমাধান নাগাল থেকে দূরে যাওয়ার সাথে সাথে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণ জোরদার করেছে। যা পেয়ারের ডাউনট্রেন্ডে ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার প্রতি প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের প্রেস ব্রিফিংয়ের পূর্বে ইউরোপীয় নেতা, জি-৭ অংশীদার এবং ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে বাইডেন বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে জি-২০ থেকে বহিষ্কারে সমর্থন করবেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়াকে নিরস্ত্র করতে পারেনি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন অবস্থানে যাচ্ছে। তবে রাশিয়া ক্রেমলিণ গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করার ডিসিশন নিলে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে কিনা তা নিশ্চিত করেনি।
ইউরোপীয় দেশগুলো ইতিমধ্যে বৈশ্বিব প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে দ্বন্দের মধ্যে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো খুব শীঘ্রই ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত নয়। তাদেন মতে, ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি দেরি হতে পারে।
ফেডের অবস্থান
ফেড চেয়ারম্যান জেরেমি পাওয়েল ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রতি আরও আক্রমনাত্মক হতে পারে। ন্যাশনাল বিজনেস ইকোনমিক্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক অর্থনৈতিক নীতি সম্মেলনের সময় তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি খুব বেশি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সে অনুযাযী কাজ করবে। যা মার্কিন ডলারের প্রাইস বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।
এ সপ্তাহে যা হতে পারে
চলতি সপ্তাহে মার্চ মাসের কনজিউমার কনফিডেন্স রিপোর্ট মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের রিপোর্ট ও মেনুফেকচারিং পিএমআই মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে।

EURUSD টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

EURUSD পেয়ার ২০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজের কাছাকাছি মুভমেন্ট করছে। পেয়ারটি ১.১০০০ প্রাইসের উপরে সাস্টেইনেবল হলে আপট্রেন্ড শক্তিশালী হতে পারে। সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্যান্স হতে পারে ১.১১৩৫।
অপরদিকে পেয়ার ১.০৯৬৫ সাপোর্ট অতিক্রমে সক্ষম হলে ১.০৯০০ ও ১.০৮০০ সাপোর্টে যেতে পারে।