EURUSD ধারাহিক দ্বিতীয় সপ্তাহ আপট্রেন্ড অব্যাহত রাখলেও গত সপ্তাহে কিছুটা বিয়ারিশে ছিল। বর্তমানে পেয়ারটি ১.০৭২১ প্রাইসের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়া থেকে আমদানিতে ৯০% নিষেধাজ্ঞার ডিসিশন নিয়েছে।
যা ইউরোর প্রাইসে প্রভাব ফেলতে পারে।বুধবার প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনএফপি ডাটা প্রত্যাশার থেকে বেশি এসেছে। যা মার্কিন ডলারকে অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে EURUSD পেয়ার গত সপ্তাহে কিছুটা বিয়ারিশে ছিল।

এ সপ্তাহে যা হতে পারে
এ সপ্তাহে ইউরো এরিয়ার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। ইউরো এরিয়ায় ১ম প্রান্তিকে জিডিপি ০.৩%-এ অপরিবর্তনীয় থাকলেও বাৎসরিক ব্যবধানে ৪.৭% থেকে বেড়ে ৫.১% আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেট গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট অপরিবর্তনীয় রাখতে পারে। তবে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কনফারেন্স থেকে বোজা যাবে ব্যাংক কতো দ্রুত ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করবে।
মে মাসে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি ৬.২% থেকে কমে ৫.৯% আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাৎরিক ব্যবধানে ৮.৩%-এ অপরিবর্তনীয় থাকতে পারে।
মার্কিন কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ৫৮.৪ থেকে কমে ৫৮.২ পয়েন্ট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টারেস্ট ডিসিশন এবং ইউরো এরিয়ার প্রেস কনফারেন্সে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী হবে।

EURUSD টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস
ডেইলি চার্টে দেখা যাচ্ছে, EURUSD নতুন বুলিশ ট্রেন্ড তৈরি করছে। পেয়ারটি ২২-SMA ব্রেকে সক্ষম হয়েছে এবং RSI ইনডিকেটর অনুযায়ী পেয়ার ৫০ পয়েন্টের উপরে অবস্থান করছে। RSI ইনডিকেটর অনুযায়ী পেয়ার পুনরায় বুলিশে আসার চেষ্টা করছে।
EURUSD পেয়ার ১.০৮০০ ব্রেকের পরবর্তীতে ১.১০০০ প্রাইসের দিকে যাচ্ছে। তবে পেয়ার ২২-SMA ব্রেক করে পুনরায় নিচে নামলে ডাউনট্রেন্ড শক্তিশালী হতে পারে।
