রয়টার্স প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর কারণে জাপানি ইয়েন ২০১৫ সালের পর থেকে সর্বনিন্মে। এর ফলে ইয়েনের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে।
বুধবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে হকিশ মন্তব্য আসার পরবর্তীতে ইউরোপীয় স্টক মার্কেটে স্লিপটার্ন হয় এবং ভোলাটাইল বেড়ে যায়। ফেড নীতিনির্ধারকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আনতে আরও আক্রমনাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারে, মে মাসে পরবর্তী পলিসি মিটিংয়ে সম্ভাব্য হাফ-পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধি করতে পারে।
জাপানি ইয়েন টানা পঞ্চম সেশনে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে, যা ২০১৫ সালের পর থেকে ইয়েনকে সর্বনিন্ম অবস্থানে নিয়ে এসেছে। অপরদিকে ব্যাংক অব জাপান ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

আর্টিকেলটি লেখার সময় USDJPY ১২১.৯২ প্রাইসের কাছাকাছি মুভমেন্ট করছে। এফএক্স সেলস প্রধান মিজুহোর নীল জোন্স বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী মার্কেটে অংশগ্রহণকারীরা এবং বিনিয়োগকারীরা এখনও ডলারের দিকে ঝুঁকছেন কারণ ফেড ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে আক্রমনাত্মক বা সবচেয়ে বেপরোয়া হবে।
জোন্স আরও বলেন, ফেডের ইন্টারেস্ট রেট বৃদ্ধির প্রত্যাশা ও ইউক্রেনের যুদ্ধের সমন্বয় ডলারের প্রাইস বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যদিও প্রথম দিকে রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা ডলারকে দুর্বল করেছিল।