বেশ কয়েক সপ্তাহে গোল্ডের প্রাইস বেড়ে ২০৭০ গেলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ ডাউনট্রেন্ড অব্যাহত রেখে ১৯১৭ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। এটি উল্লেখ করা দরকার গোল্ড আগের সপ্তাহে ২০২১ সালের জুনের পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি কমেছে। চলতি সপ্তাহে এখনও ডাউনট্রেন্ড মনোভাব দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও ফেড চেয়ারম্যান জেরেমি পাওয়েলের বক্তৃতায় ইউক্রেন-রাশিয়ার আলোচনা আসতে পারে। বাইডেন তার আলোচনায় ইউক্রেন-রাশিয়ার নিয়ে আক্রমানাত্মক কোন কথা বললে গোল্ডের প্রাইস পুনরায় বৃদ্ধি পেতে পারে।
মার্কিন ট্রেজারি তিন বছরের উচ্চতায় পৌঁছেছে, এর ফলে ডলারের প্রাইস বেড়ে ৯৮.৫০ এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। যা গোল্ডের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি সমস্যা মোকাবেলা করার পরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে এমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কিয়েভ-মস্কোর গল্প গোল্ডের মুভমেন্টে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এদিকে রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো উন্নতির প্রতিকূলতার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে। এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে তেমন কোন আলোচনার অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, রাশিয়ান জাহাজগুলো মারিউপোল হার্ডবল সমুদ্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (ডব্লিউএসজে) ইঙ্গিত দিচ্ছে, বাইডেন প্রশাসন ৩০০টিরও বেশি রাশিয়ান আইন প্রণেতাকে অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি তাদের কোষাগারের সাথে মস্কোর গোল্ড বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতিও দেখাচ্ছে। গোল্ডের দামের পরিবর্তনের বিষয়ে আরও স্পষ্টতা অর্জনের জন্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাওয়েলের আজকের বক্তৃতা গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
চার ঘন্টার চার্টে MACD ইনডিকেটর অনুযায়ী গোল্ড ৫০ পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। যা গোল্ডের প্রাইস কমার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে। ২০০-SMA অনুযায়ী গোল্ডের সাপোর্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে ১.৯১৪। গোল্ড পরবর্তীতে ১,৯০০ সাপোর্ট ব্রেকে সক্ষম হলে ১,৮৭৮ যেতে পারে।
অপরদিকে ১০০-SMA অনুযায়ী ১,৯৫৫ রেজিস্ট্যান্স অতিক্রমের পরবর্তীতে ১,৯৭০ রেজিস্ট্যান্সে যেতে পারে। গোল্ড আপট্রেন্ড অব্যাহত রেখে ১,৯৭৫ অতিক্রমের পরবর্তীতে ২,০০০ রেজিস্ট্যান্সে যেতে পারে।